মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৪০ পয়সায়

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে তিন জন আক্রান্ত হওয়ার ঘোষণা আসার পর সারাদেশে ওষুধের দোকানগুলো থেকে উধাও হয়ে গেছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার।চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ বুঝে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কালোবাজারিরা। দোকানের স্যানিটাইজার ও মাস্ক শেষ হয়ে যাওয়ার নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে দালালের মাধ্যমে ২০ থেকে ৩০ টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। এ অবস্থায় মাত্র ৪০ পয়সায় মাস্ক বানানোর প্রচারণা চালানো হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। টিস্যু পেপারে রাবার স্টেপলার দিয়ে আটকে ওই মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০ পয়সায় মাস্ক বানানোর কৌশল শিখিয়েছে ‘নোঙ্গর’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) দুপুরে ওই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজে গিয়ে সেখানকার শিক্ষার্থীদেরকে মাস্ক বানানো কৌশল শেখান। পরে ওই কলেজের রোভার স্কাউটদের নিয়ে করোনাভাইরাস বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারা সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করেন। আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান প্রচারণাকারীরা।

এ সময় ‘নোঙ্গর’ এর সভাপতি মো. শামীম আহমেদ, সাধারন সম্পাদক খালেদা মুন্নী, সহ-সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

‘নোঙ্গর’ এর নিবার্হী সদস্য সোহেল আহাদ বলেন, টিস্যু পেপার ব্যবহার করে খুব সহজেই কিভাবে মাস্ক বানানো যায় সেটিই দেখানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের। পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালানো হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এস এম শফিকুল্লাহ বলেন, এটি নিসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। কম টাকায় খুব সহজেই মাস্ক তৈরি করা শিখে শিক্ষার্থীরাও বেশ খুশি।কলেজের বাইরেও প্রচারণা চালিয়েছে সংগঠনটি।

আপনি আরও পড়তে পারেন